বিনা উদ্ভাবিত আমন ধান চাষাবাদের ওপর কৃষক প্রশিক্ষণ ১৭ জুন বরিশালের বিনার ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের স্থান পৃথিবীর তৃতীয়। আমরা আরো এগিয়ে যাব।নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে অন্য দেশের খাবারের যোগান দেব ইনশা-আল্লাহ। এ জন্য দরকার মেধা ও প্রযুক্তি জ্ঞান প্রয়োগ। পাশাপাশি প্রয়োজন উচ্চফলনশীল জাত ব্যবহার।
তিনি আরো বলেন, আগেই সারের দাম কমানো আছে।এবার যোগ হয়েছে প্রতিকেজি ধানবীজের মূল্য দশ টাকা ছাড়।ধান কেনারও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। ধানের দাম আশানুরূপ না হওয়ার কোনো কারণ নেই। সরকার কৃষকের পাশে আছে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল আকতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং ডিএই বরিশালের উপপরিচালক মো. তাওফিকুল আলম।
বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার পপির সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম এবং ব্রির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আবু সাঈদ।
অনুষ্ঠানে বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে ৪ কেজি করে ধানবীজ বিতরণ করা হয়। প্রশিক্ষণের দুই ব্যাচে ৭০ জন কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।